
লেখক: মোঃ মাহিদুল হাসান সরকার,
সাধারণ সম্পাদক
বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাব (বি.সি.পি.সি), কেন্দ্রীয় কমিটি
১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ —
সাংবাদিক সমাজের ইতিহাসে এক কালো রাত।
সেই রাতে স্বামী-স্ত্রী দুই সাহসী সাংবাদিক, সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি, খুন হন পেশাদার ঘাতকের নিখুঁত আঘাতে। আজ তেরো বছর পেরিয়ে গেছে। কিন্তু বিচার নেই, নেই কোনো স্পষ্ট অগ্রগতি। ১১৯ বার শুনানির তারিখ পিছিয়েছে—এ যেন অদৃশ্য এক প্রহসন চলছে ন্যায়বিচারের নামে।
এই দেশে সাংবাদিকদের রক্তে বারবার লেখা হয় ইতিহাস, কিন্তু লেখা হয় না বিচার। রাষ্ট্র নিরব, আদালত ব্যস্ত শুধু “পুনরায় দিন ধার্য” লিখে যেতে। আমরা কি কেবল কফিনে নাম লেখাতে এসেছি? না কি প্রতিদিন সত্য বলার দায়ে প্রাণ দিতে?
সাগর-রুনির মতোই একে একে ঝরে পড়েছে জামালপুরের নাদিম, গাইবান্ধার ফরিদুল ইসলাম রঞ্জু, বগুড়ার শেরপুরের দীপঙ্কর চক্রবর্তী সহ বহু সাংবাদিক। তাদের রক্ত চিৎকার করে — “বিচার কোথায়?”
আমরা সাংবাদিক। কলম আমাদের অস্ত্র। কিন্তু সেই অস্ত্র যখন প্রশ্ন তোলে শাসকের অন্যায়ের বিরুদ্ধে, তখনই চক্রান্তের ফাঁদ পাতা হয় আমাদের জন্য। এই রাষ্ট্র কি সত্যিই ভুলে গেছে রুনিদের অশ্রু? বিবেক কি মৃত?
না, আমরা থামব না।
আমরা চাই—জবাবদিহি হোক। চাই—প্রকাশ্যে ন্যায়বিচার।
যেদিন সত্যের সামনে নত হবে শক্তির আসন, সেদিনই হবে আমাদের বিজয়।
এই প্রতিবাদ থামবে না।
এই আগুন নিভবে না—যতক্ষণ না সত্য পাবে আলো, অন্যায় পাবে জবাব।
আমরা সাংবাদিক মরতে আসিনি
আমরা এসেছি রক্ত দিয়ে ইতিহাস লিখতে,
আসছি প্রতিবাদের আগুনে—জ্বালাতে অন্যায়,
কর্পুরের মতো, চিরতরে।