প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের ঘরের বিদ্যুৎ বিল ৫৪ হাজার টাক
কামরুল হাসানঃ স্টাফ রিপোর্টঃ
আশ্রয় প্রকল্পে থাকা মজিরনের এক মাসের বিদ্যুৎ বিল এসেছে ৫৪ হাজার টাকা।এতে বিপাকে পড়েছেন ভুক্তভোগী মজিরন বেগম।
সরেজমিনে জানা যায়,মজিরন বেগমের স্বামী মারা গেছেন কয়েক বছর আগে। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের ঘর পেয়ে সেখানেই বসবাস করছিলেন এই নারী। পেয়েছেন ঘর সঙ্গে বিদ্যুৎ সংযোগও। অন্যের বাসা বাড়িতে কাজ করেই তার দিন চলছিলো। কিন্তু মে মাসের বিদ্যুৎ বিল দেখে মাথায় হাত, কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ। কারণ, কুড়িগ্রাম লালমনিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি মে মাসে তার বিদ্যুৎ বিল হিসেবে উল্লেখ করেছে ৫৪ হাজার ২৩৭ টাকা।
কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের ছোট কুষ্টারী গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে বাস করেন ভূমিহীন মজিরন বেগম। ওই প্রকল্পে তিনিসহ বসবাস করেন ৬ টি পরিবার।
মজিরন বেগম বলেন, আমার ঘরে একটা ফ্যান ও একটা লাইট (বাল্ব) জ্বলে। বারান্দায় একটা বাতি আছে। মার্চ ও এপ্রিল মাসে ২৩০ টাকা করে বিল এসেছিল। কিন্তু এই মাসে বিল দিছে ৫৪ হাজার টাকা। আমারতো মাথা ঘুরি গেছে। এটা কেমন করি হয়? দুইটা লাইট আর একটা ফ্যান চালার বিল এতো টাকা? পরে বিষয়টা উপজেলার চেয়ারম্যান কে জানাইছি।
এ বিষয়ে উপজেলার চেয়ারম্যান রুকুনুজ্জামান শাহিন বলেন, আমার কাছে মৌখিক ভাবে অভিযোগ করেছেন।
তাকে দেওয়া পল্লী বিদ্যুতের মে মাসের বিলের কাগজে দেখা গেছে, তার বৈদ্যুতিক মিটারের বর্তমান রিডিং ৬৯৪৫ এবং আগের রিডিং ২৮৭৭। ব্যবহৃত ইউনিট দেখানো হয়েছে চার হাজার ৬৮। ২৭ মে জরিমানা ছাড়া বিল পরিশোধের তারিখ উল্লেখ করে তাকে ৫৪ হাজার ২৩৭ টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম লালমনিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চিলমারী জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোস্তফা কামালকে কল করলে তিনি বলেন, আমি এভাবে কথা বলতে পারবো না। আপনি সামনে এসে কথা বলেন। এরপর সংযোগ কেটে দেন।
প্রতিষ্ঠানটির জেনারেল ম্যানেজার মো. মহিতুল ইসলাম বলেন, ‘আমি বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব।’