জমি নয়,টবেই হবে আলু চাষ। কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী জানা যায় যে,কৃষকদের জমি না থেকেও আলু চাষ করতে পারে এমনই আবিষ্কারের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে নিত্য প্রয়োজনীয় আলু চাষ করে অনেকেই লাভবান হতে পারে। উল্লেখ্য,আমরা অনেকেই বাড়ির আঙিনায় বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করতে ভালোবাসি । এই চাষ গুলো বাণিজ্যিক ভাবে না করলেও এগুলো দ্বারা পরিবারিক চাহিদা মেটানো অনেকটাই সম্ভব। তবে অনেকের জমি চাষ করার ইচ্ছা থাকলেও জায়গার অভাবে তা করতে পারে না। বিশেষ করে যারা শহরে বসবাস করে জমির অভাবে তাদের চাষ করার তেমন কোন সুযোগ হয় না। কেননা শহরে চাষবাসের জমি পাওয়াটাই অনেক মুশকিল। তবে গ্রামীণ জীবনে এধরনের চাষবাস সচরাচর করা হয় থাকে। কেননা গ্রামে চাষের জমি সচরাচর থাকার কারণে আমরা প্রায় প্রত্যেকেই সেখানে চাষের সুযোগ পাওয়া যায়।খাবারে সৌখিন এমন অনেকেই আছেন যারা খেতে অনেক পছন্দ করেন এবং অপরকে খাওয়াতেও পছন্দ করেন । এক সময় কালে যখন বিভিন্ন ধরনের রান্না ছিল না তখন মানুষ মাছ ,মাংস,ভাত এগুলো খেয়েই ক্ষুধা নিবারণ করতেন। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন রান্নার কৌশল সবচেয়ে বেশি দেখা যায় । এই কৌশল গুলো জানা এবং দেখার জন্য অধিকাংশ মানুষ ইউটিউব,ফেসবুক দেখে থাকেন অর্থাৎ সোশ্যাল মিডিয়ায় এসকল রান্না এবং রান্নার কৌশল সবকিছু সহজে পাওয়া যায়। যার দরুন সকলেই ইচ্ছেমতো এবং তার রুচি মতো বিভিন্ন খাবার বানিয়ে খেতে পারেন। যারা রান্না পারেন না তারাও এ সোশল মিডিয়া থেকে অনেক রান্না শিখতে পারেন। সে অনুযায়ী অনেক নতুন নতুন রান্না তৈরি করেও তারা খেয়ে যাচ্ছেন। আমরা কঠিন কঠিন কিছু নয়। আলুতেও আছে ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, পটশিয়াম,ম্যাগনেশিয়াম,ফসফরাস এবং জিঙ্ক। আলুতে থাকা উপাদান প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে থাকে। আমাদের ত্বকের উপরিভাগের রঙ হালকা করে,কালো দাগ দূ’র করে এবং ত্বকে একটা সুন্দর উজ্জ্বলতা এনে দেয়। আলুর কিছু উপকারী প্যাক সম্পর্কে আমরা জানতে পারি। আর তা হল নিয়মিত ব্যবহারের জন্য আপনাদের পছন্দমত যেকোনো একটি বা দুটি ফেস প্যাক বেছে নিতে পারেন। আলু,মুলতানি মাটি ও গোলাপজল-এই প্যাকটি তৈলাক্ত ত্বকের জন্য খুব ভালো।বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ। আর এখানে কৃষিকাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বাংলাদেশে বিভিন্ন ফসলের মধ্যে আলুর চাহিদা খুব বেশি। এইবার আলু চাষে এক অভিনবত্ব এনেছেন হরিয়ানার কৃষক। হরিয়ানার করনালে অবস্থিত এলাকার কৃষকেরা এখন জমি ছাড়া টবে আলু চাষ করছেন। এর ফলে ফলনও হবে ১০ গুণ বেশি। শুনতে অবাক লাগলেও নতুন অ্যারোপনিক চাষাবাদ পদ্ধতি শুরু হয়েছে কেন্দ্র। যেখানে জমি ছাড়াই টবে আলু চাষ করা সম্ভব হবে। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন,আন্তর্জাতিক আলু কেন্দ্রের সঙ্গে কেন্দ্রের একটি বিশেষ আলোচনা হয়েছে। অ্যারোপনিক প্রকল্পটি ভারত সরকার দ্বারা অনুমোদিত হয়েছে বলে জানা যায়। এই পদ্ধতির মাধ্যমে একটি গাছে ৪০ থেকে ৬০ টি ছোট আলুর ফলন হবে,যা জমিতে বীজ হিসেবে রোপন করা হচ্ছে। এই পদ্ধতিতে ফলন প্রায় ১০ থেকে ১২ গুণ বৃদ্ধি পাবে। এই প্রকল্পটির নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে টবে আলু জন্মানো। এই পদ্ধতির মাধ্যমে গাছে যতটুকু পুষ্টি দেওয়া হয়,তা মাটি দিয়ে নয়,বরং ঝুলন্ত শিকড় দিয়ে দেওয়া হয়। ফলে আলুবীজের খুব ভালো উৎপাদন করা যায়।
এই পদ্ধতির ফলে আলুগুলো মাটিবাহিত যেকোনো রোগ থেকে মুক্ত থাকবে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমেই ভালো মানের বীজ এর ঘাটতি পূরণ হবে। কেন্দ্রের এই কৌশলে ১ ইউনিটে ২০ হাজার চারা রোপণের ক্ষমতা রয়েছে,যা থেকে প্রায় ৮ থেকে ১০ লাখ মিনি কন্দ বা বীজ আরও প্রস্তুত করা যেতে পারে বলে জানা যায়।
সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ আতাউর রহমান মুকুল
What's App: +8801710-489904 E-mail: [email protected]